আটলান্টিক সিটি, ০১ অক্টোবর : বাংলার আকাশে এখন ছেঁড়া ছেঁড়া পেঁজা পেঁজা সাদা তুলোট মেঘের ছোটাছুটি, কাশবনে কাশ ফুলের দোল, শিউলি ফুলের সুগন্ধে মাতোয়ারা ধরিএী। যদিও সুদূর আমেরিকায় এসবের কোনও ছোঁয়াই নেই, তবুও অন্তরে লালন করা দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য মনন পোড়া মনকে জানান দেয়, ঋতুটা শরৎ, সময়টা শারদোৎসবের।
পুরাণে দেবী দুর্গার আবির্ভাব তত্ত্বে বলা হয়েছে, সমাজের সব অশুভ শক্তির বিনাশে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব। অসুরদের দাপটে সমগ্র মানব জাতি যখন উৎকণ্ঠিত তখন মানব কল্যাণে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রী রামচন্দ্র। তিনি পিতৃ আদেশে বনবাসে থাকাকালীন লঙ্কেশর রাবণ তার স্ত্রী সীতাকে অপহরণ করে লংকায় লুকিয়ে রাখেন। লংকাপুরী থেকে প্রিয়তমা স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে শ্রী রামচন্দ্র শরৎকালে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানান। বসন্তকালের পরিবর্তে শরৎকালে দেবী দুর্গাকে আহবান করায় এ পূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শরৎকালে দুর্গাপূজার প্রচলন হয়।
সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস,অসুর শক্তি বিনাশকারী দেবী দূর্গার আরাধনার মধ্য দিয়ে সমাজ থেকে সব পাপ দূর হয়ে যাবে, সমাজে ফিরবে শান্তি। এবছর দেবী দুর্গার আগমন এবং গমন দুটোই ঘোটকে। শারদোৎসবের বার্তা পেয়ে প্রবাসী বাঙালী হিন্দুরা মেতে উঠেছে দুর্গোৎসবের হরেক আয়োজনে।
নিউ জার্সি রাজ্যের সাউথ জার্সিতে জাগরণী কালচারাল সোসাইটি ইনক এর উদ্যোগে আগামী ২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ও ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) ৫৭১, দক্ষিণ পোমনা রোডে অবস্হিত হিন্দু জৈন মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গোৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পূজা অর্চনা, আরতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত সংগীত শিল্পী কৃত্তিকা চক্রবর্তী। জাগরনী কালচারাল সোসাইটি ইনকের কর্মকর্তারা শারদোৎসবে অংশগ্রহণের জন্য কমিউনিটির সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan